পঞ্চগড়ে এলপিজি পাম্প ব্যবসায় একক আধিপত্যের অভিযোগ

ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় জেলায় এলপিজি পাম্প ব্যবসায় একক আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ রয়েছে, নতুন কোনো উদ্যোক্তা এলপিজি পাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিলে তাকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে এই বাধা প্রদান করা হচ্ছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
জানা গেছে, পঞ্চগড় শহরের ভেতরে এখনো কোনো এলপিজি পাম্প নেই। ফলে মাইক্রোবাস, কারসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা এলপিজি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একমাত্র পাম্পে যানবাহনের দীর্ঘ লাইনে ভোগান্তি ও সময় অপচয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও গুনতে হচ্ছে চালকদের।
এক মাইক্রোবাস চালক বলেন, “প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে শুধু দূরত্বের জন্য। তার ওপর কখনো এলপিজি লোড কম, আবার কখনো তুচ্ছ কারণে জরিমানা দিতে হয়।”
এ অবস্থায় শহরের কাছাকাছি একটি স্থানে এক প্রবাসী বিনিয়োগকারী এলপিজি পাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যে তিনি ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের সব অনুমোদন সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু শহরের বাইরে থাকা একমাত্র এলপিজি পাম্পের মালিক তার ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’, ‘ব্লাস্টের আশঙ্কা’ ইত্যাদি অজুহাত তুলে নতুন প্রকল্পে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, শহরের মধ্যে নতুন পাম্প স্থাপিত হলে পূর্ববর্তী একমাত্র পাম্পে গাড়ির চাপ কমে যাবে এবং লাভ কমে আসবে—এই আশঙ্কা থেকেই তিনি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। অথচ জেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ব্যবহৃত হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার, যেগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, উন্নত বিশ্বের আদলে বাংলাদেশেও পরিবহণ খাতে নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ থাকা উচিত। একটি পাম্পের একক দখলদারি রেখে পুরো জেলার মানুষের সেবাকে বাধাগ্রস্ত করা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য লিখুন