Saturday, April 19, 2025
Homeকুড়িগ্রাম৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বদলে গেছে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের চিত্র

৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বদলে গেছে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের চিত্র

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

মোঃবুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশের সকল কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারেও নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়। সংকটময় মুহূর্ত নিরসনে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি জেলখানার ভিতরের নানা অনিয়ম দূর করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্প সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।

নাগেশ্বরী থেকে আসা একজন কয়েদির আত্মীয় শামীম মিয়া জানান, আগে কারাগারে কয়েদিদের সাথে দেখা করা,তাদের জন্য শুকনো খাবার পাঠানো,পিসি (কয়েদিদের জন্য টাকা) লাগানো এসবে নানা বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি হতো কিন্তু বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কারাগারে শৃঙ্খলা ফিসে এসেছে।

তিনি আরো জানান,আগে দেখা করতে আসলে অনেক সময় বসে থাকা লাগতো,কোনো কোনো দিন দেখাও মিলতোনা কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই।

রাজারহাট থেকে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, আগে দেখা করতে টাকা লাগতো এখন লাগেনা। আবার পিসি লাগিয়ে দিলে ওখানে কম পাইতো এখন সে সমস্যাগুলাও হয়না। খাবারের মানও আগের তুলনায় ভালো হইছে।

কারাগারে নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের কারাগারগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছিলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতার সাথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। সেই সাথে কারাগারের ভিতরের নানা অনিয়ম,খাবারের মান যাচাই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ সব দিকেই আমরা নজর রাখছি। এবং জেলার আইনশৃঙ্খলা, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি।

কুড়িগ্রাম জেলার জেল সুপার এ.জি মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে কারাগারে অনিয়ম ও ত্রুটি ছিল, আমরা সেগুলো দূর করেছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তা সহ সকল ক্ষেত্রেই আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা প্রতিদিন খাবারের মান যাচাই করছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, কুড়িগ্রামের জেলা কারাগারের নিরাপত্তা ও মান উন্নয়নে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর