Saturday, March 15, 2025
Homeরংপুরতারাগঞ্জে সেই প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সহকারি প্রধান শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত

তারাগঞ্জে সেই প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সহকারি প্রধান শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর
বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি নিজের এক পরিবারের ৭
জন নিয়োগসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই
বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক মোঃ আলিয়ার রহমানের নিজ স্ত্রী উক্ত
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ আলেয়া বেগম কে বুধবার (২
অক্টোবর) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সহকারি প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ আলেয়া বেগম
নিয়মিত স্কুলে আসেন না। নিজ স্বামী আলিয়ার রহমান ওই বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক ও স্বামীর বড় ভাই মফিজাল হোসেন স্কুল প্রতিষ্ঠা হওয়ার
পর থেকে সভাপতি থাকায় নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে
শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের উপড়ে একক কর্তৃত্ব
প্রতিষ্ঠা করেন। স্বামীর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেন
এবং নিজেও সেই দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। সপ্তাহে একদিন বিদ্যালয়ে
এসে তিনি শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। মাঝে মাঝে প্রধান
শিক্ষকও ওই হাজিরা খাতায় নিজ স্ত্রীর স্বাক্ষর করেছেন বলে অভিযোগ
করেন। আরও নানান অভিযোগ রয়েছে ওই সহকারি প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ
আলেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে।
ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ আহাদ শেখ বলেন,“ সহকারি
প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ আলেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
তিনি এত বেশি অনিয়ম করেছে যে, সারাদিন বললেও তা শেষ হবে না।
আামাদের সোনার বাংলাদেশে কোন দুর্নীতিবাজের স্থান নেই। আমরা

শিক্ষার্থীরা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। ওই সহকারি প্রধান
শিক্ষিকার আমরা স্থায়ী বরখাস্ত চাই “।
ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নজির হোসেন বলেন, “চরম দুর্নীতি
করেছে উনি। পারিবারিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রুপ দান করেছে তাঁরা এই
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে। আমাদের অজপাড়াগায়ের ওই শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে হলে ওদের পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
দুর্নীতিবাজদের স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে”।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রুবেল রানা বলেন,
বিভিন্ন অভিযোগ এনে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ
আলেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই বিদ্যালয়ের
প্রাক্তন,বর্তমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। তাঁর প্রেক্ষিতে তাকে
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর