Sunday, April 20, 2025
Homeকুড়িগ্রামএসপির নির্দেশ সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিলো পুলিশ সদস্য

এসপির নির্দেশ সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিলো পুলিশ সদস্য

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)সংবাদদাতাঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর শহরের মোড় এলাকায় ঈদে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্যক্তের অভিযোগে মাইকিং করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে দশটার দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান। এসময় স্বদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি ও চিলমারী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দাম সংবাদ সংগ্রহের উদ্যেশ্যে ছবি ও ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ সুপারের ফোন কেড়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এসময় এক পুলিশ সদস্য ওই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করে দেন। এতেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ সুপার, তিনি সাংবাদিককে উদ্যেশ্য করে বলেন, মিডিয়া ছুটাই দেব। এঘটনায় চিলমারীর সাংবাদিক সমাজ তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, সেখানে এক সাংবাদিক ভিডিও করেছিলেন এসময় এসপি স্যারের বডি গার্ড ফোন হাতে নিয়ে শুধু ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন। সেখানে ফোন কেড়ে নেয়ার তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ সুপার আসার খবর শুনে সেখানে গিয়ে ভিডিও ও ছবি তোলার সময় এসপি সাহেব আমার উপর চড়াও হন এবং সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নিতে বললে সাথে থাকা এক পুলিশ সদস্য ফোনটি কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করেন। বিষয়টি আমার কাছে খুবই দুঃখজনক।

রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আঁশেক আকা জানান, আমি ওই সময় একটু দূরে ছিলাম। পরে বিষয়টি ওই সাংবাদিকের কাছে শুনেছি।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান টিউটর জানান, কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে এধরণের আচরণ করতে পারে না। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। কারন তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, তাকে সবার সাথে ভালো আচরন করা উচিৎ বলে মনে করেন এই সাংবাদিক নেতা।

চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম কিন্তু একটু পিছনে ছিলাম। আমি এ ধরনের কোন বিষয় সম্পর্কে জানিনা। এ সময় কোন সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ঘটনার সম্পর্কে জানার জন্য কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর