মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক কলেজ শিক্ষককে পথরোধ করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান। এর আগে গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসের সামনে এমন ঘটনা ঘটলে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাঞ্চারচ গ্রামের মৃত বসির উদ্দিনের ছেলে দাঁতভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের কর্মরত সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হাই গত সোমবার রৌমারী সিটি কলেজ থেকে পাঠদান শেষে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পরে রৌমারী সাব-রেজিস্টার অফিস সংলগ্ন রাস্তায় ওত পেতে থাকে রৌমারী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহাম্মেদ ও উপজেলা বিএনপি নেতা আলমাস হোসেন ভোলা। ওই অধ্যাপকের পরিচিত লোকজন ডাকাডাকি করলে গাড়ি থামিয়ে শামিম ও ভোলা তাকে লাঞ্ছিত করেন।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হাই জানান, বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে গাড়ি ব্রেক করে আমার এলাকার ভাইয়ের সাথে কথা বলতেছিলাম, এমন সময় আলমাছ হোসেন ভোলা ও শামীম আহাম্মেদ উত্তেজিত কণ্ঠে “প্রতিবাদী মাস্টার” হয়ে গেছিস? ‘ফেসবুকে ওমনিতে কমেন্ট করিস’ আক্ষেপ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে মারতে চায়। এমনকি পায়ের স্যান্ডেল তুলে বাড়ি দেয়। স্যান্ডেলের আঘাত হাতে লাগলে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি মচকে যায়। পরে উপস্থিত জনতা আমাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, আব্দুল হাই আমার সম্পর্কে মামা হন একই এলাকায় আমাদের বাড়ি। ফেসবুকে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে আলমাস হোসেন ভোলার সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। আমি তৃতীয় পক্ষ হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।