নুরুল আমিন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বাজার ও বসতভিটা। উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের ফুলকুমার নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অনুমতিবিহীন অভৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে থানাঘাট বাজারের হাট সেড, ফুলকুমার ব্রিজ, ফসলী জমি ও নদীতীরের কয়েকটি ভুমিহীন পরিবার। এদিকে, বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাথরডুবী ইউনিয়নের থানাঘাট বাজার সংলগ্ন ফুলকুমার নদী থেকে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.জানিক হোসেন বলেন, আমরা ভূমিহীন। সরকারি জমিতে থাকি। নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় থানাঘাট হাটসেড, ব্রিজ, ফসলী জমি ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। এছাড়া ভুমিহীন পরিবার ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। ছাত্র জনতার বাধায় বালু উত্তোলন কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও ফের ভালো উত্তোলন শুরু করেছে তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীকে বালু তুলতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নারাজ। যে কোনো ভাবেই হোক সে বালু উত্তোলন করবে বলে হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী নজরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার পৈত্রিক জমি থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর ভরাট করছি। এতে কারো ক্ষতি হবার কথা না। ক্ষতি হলে আমি ক্ষতি পূরণ দেব।
পাথরডুবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন,ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তোলনকারীকে বালু তুলতে নিষেধ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে । আশা করছি অবৈধ বালু উত্তোলন আজকের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।