অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে গরু-মহিষের বীমা বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিমার অন্তর্ভুক্ত গরু-মহিষ দুর্ঘটনায় মারা গেলে কৃষক ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে বীমা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব অডিটরিয়াম আলোর ভূবন হলরুমে বীমা বিষয়ক এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
কার্নিভ্যাল অ্যাসিউরের তত্ত্বাবধানে ও সুইচ কন্টাক্ট-এর সার্বিক সহযোগিতায় এবং সুইস অ্যাম্বাসির অর্থায়নে গরু-মহিষের বীমা বিষয়ক প্রকল্পটি ডটলাইনস সোশ্যাল-এর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডটলাইনস সোশ্যাল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ কামরুল আরেফিন জিহাদ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, তাঁরা এই বীমা প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় জেলার ৭ হাজার কৃষক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গরু-মহিষের বীমার সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রাথমিকভাবে তিন উপজেলার ১ হাজার ৮০০ খামারি সরাসরি বীমা সুবিধার আওতায় আসবে। যারা বীমা সুবিধার আওতায় আসবে সেই সমস্ত কৃষকদের গরু-মহিষ দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা অক্ষম হলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
গরু-মহিষের বীমা প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মোছা. রেবা বেগম। দাতাসংস্থা সুইস কন্ট্যাক্ট এরপক্ষ থেকে ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিএমএমডিপি কো-অর্ডিনেটর নাজিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ডটলাইনস সোশ্যাল এবং কার্নিভ্যাল অ্যাসিউর-এর প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সদস্যরা, ফিড সেলার, পারাভেট, সাংবাদিকবৃন্দ এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং এলাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে গবাদি পশুর লালন-পালনে যে সমস্যাগুলি দেখা দিচ্ছে, সেই সমস্যাগুলি মোকাবেলায় এই মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা এই মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স প্রকল্প গ্রহন করলে মূলধন হারানোর ভয় কমে যাবে।’
উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মোছা. রেবা বেগম বলেন, এই বীমা প্রকল্পটি প্রান্তিক কৃষকদের গবাদি পশুর লালন-পালনকারীদের আর্থিক ক্ষতি কমাতে সাহায্য করবে। তবে বীমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো এবং বীমার পলিসি বিষয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে সঠিক ধারণা দেওয়ার দাবি জানান।
পরে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান বেলুন উড়িয়ে প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।