এ কে এম কায়সারুল আলম, রংপুর প্রতিনিধিঃ
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির ব্যানারে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে দুই দিনব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি করবে বিএনপি । পুরোদমে চলছে প্রচারণা । ঠিক সেই মুহূর্তে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ব্যারাজের ৬টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এতে করে তিস্তার কর্মসূচি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । অপরদিকে খড়া মৌসুমে পানি বৃদ্ধিতে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকেরা ।
জানাগেছে,গত শনিবার ভারত পানি ছেড়ে দেওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহৎ সেচ প্রকল্পে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
স্থানীয়রা বলছেন, তিস্তার পানি নিয়ে আমরা ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন করতে যাচ্ছি ঠিক তখনই ভারত পানি ছাড়ছে । এটা ভারতের চক্রান্ত কারণ এই মৌসুমে কখনো ভারত পানি ছাড়ে না । এ ছাড়া তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেগে উঠা বালুচরের রসুন, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল বাদামসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হতে পারে ।
এ বিষয়ে তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি শুনেছি। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পারে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চলবে ।