Saturday, March 15, 2025
Homeআইন-আদালতঅপরাধ ও দুর্নীতিখামারের সাথে শত্রুতা রাতারাতি ১২০০ পোল্ট্রি মুরগী নিধন

খামারের সাথে শত্রুতা রাতারাতি ১২০০ পোল্ট্রি মুরগী নিধন

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন ,হিলি প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে রাতারাতি নোমান-মুন্না দুই ভাইয়ের খামারে প্রায় ১২০০ পোল্ট্রি মুরগি নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।খামারটিই ছিল তাদের একমাত্র আয়ের উৎস, এখন তারা নিঃস্ব প্রায়। খামারটি পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। বিষাক্ত কোনোকিছু গ্রহণ করার কারণে এসব মুরগির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা এই কর্মকর্তার।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাকিমপুর হিলি পৌরসভার দক্ষিণ বাসুদেবপুর (মহিলা কলেজ পাড়ায়) নোমান ও মুন্না দুই ভাইয়ের খামারে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুই ভাইয়ের খামারে ছিল ১৫ দিন বয়সের প্রায় ২ হাজার পোল্ট্রি মুরগি। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত খামারে মুরগিগুলো সুস্থ দেখেছে খামারের শ্রমিকরা।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় খামার শ্রমিকরা গিয়ে দেখতে পায় প্রায় সব মুরগি মরে পরে আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এই খামার করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এই দুই ভাই। রাতারাতি মুরগিগুলো নিধন করায় তাদের মাথায় হাত পড়েছে।
খামার শ্রমিকরা বলেন, আমি এই খামারে অনেক দিন ধরে কাজ করে আসছি এবং এখান থেকেই আমার সংসার চলে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কয়েকবার মুরগিকে খাদ্য-খাবার দিয়েছি। আমি রাত পর্যন্ত একটি মুরগিও অসুস্থ দেখিনি। আজ সকাল ৮ টায় খামারে গিয়ে দেখি প্রায় সব মুরগি মরে পড়ে আছে। তখন এলাকাবাসী সহ খামার মালিককে খবর দেয়।
খামার মালিক মুন্না বলেন, গতকাল রাত ৮টায় খামারে মুরগি আমি ভাল দেখে এসেছি। আজ সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমার খামারের প্রায় মুরগি মরে পড়ে আছে। রাতে খামারের সব পর্দা ফেলানো ছিল। সকালে বেশ কয়েক জায়গার পর্দা উঠানো। পর্দার পাশে বিষের গন্ধ এবং এই পাশের সকল মুরগিই মারা গেছে। আমার এতো বড় ক্ষতি কে করলো? আমি এর বিচার চাই।
এবিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, সকালে খামারি খবর দিলে আমি আমার সহকারীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি। মৃত মুরগির পোস্টমর্টেম করি। তবে তাদের শরীরে কোন রোগের আলামত পাইনি। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত কিছু প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা ঢাকায় এর আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য পাঠাবো, তার আগে কিছু বলা যাবে না।
Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর