ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে একটা হত্যা মামলায় শ্যোন গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক রহিমা খাতুন আগামী ১০ অক্টোবর শুনানীর দিন ধার্য করেন।
ইতিপূর্বে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিকুঞ্জ থেকে চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার সুজনকে রোববার ঠাকুরগাঁওয়ের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনের আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম ও তার বড় ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন হাবিবুল ইসলাম বাবলু নামের এক ব্যক্তি।ওই মামলায় দবিরুলের ছোট ছেলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মমিরুল ইসলাম সুমন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আমজানখোর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, একই উপজেলার তাঁতী লীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান শামীমও আসামি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝারি মৌজায় প্রায় ৯০ একর জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন হাবিবুল ইসলাম বাবলু। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ আসামিরা বাদীর কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এই মামলা ছাড়াও সুজনকে গত ৫ আগস্ট ঠাকুরগাঁও রোডে ৪ জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে পুড়িয়ে হত্যার আসামী হিসেবে শ্যান এরেস্ট দেখানো হয়েছে। এ মামলায় সুজন ছাড়াও আসামি আছেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সাবেক পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যাসহ আরও অনেকে । তার বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলায় তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের আদালতে হাজির করা হলে তিনিও জামিন না মঞ্জুর করেন।এ ব্যাপারে সরকার পক্ষের আইনজীবী এড জয়নাল আবেদিন জয় বলেন, যেহেতু এটি হত্যা মামলা এবং তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার রিমান্ডের আবেদন করতে পারেন, সেই বিবেচনায় বিজ্ঞ আদালত তাঁকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।