নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও রোড বাজারের অবৈধ দখলদারদের দখল স্থায়ী করতে নেপথ্যে কে কাজ করছে পৌর মেয়র নাকি এসি ল্যান্ড এ প্রশ্ন এখন সবার মনে। এতদিন বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে দুটো বিষয়কে সামনে নিয়ে আসতেন তারা। এর ককটি হলো রাজনৈতিক চাপ আর অপরটি হলো পৌর মেয়রের সমর্থন। কিন্তু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় নেই। পৌর মেয়রও জেল হাজতে। এমতাবস্থায় কার নির্দেশে ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে অবৈধ দখলদারেরা আরো জোরে সোরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছে।
সদর উপজেলার ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় ঠাকুরগাঁও পৌরসভার আওতায় পরিচালিত ঐতিহ্যবাহী রোড বাজার। দিনের পর দিন স্থানীয় প্রভাশালীরা দখলে নিয়ে নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন এই বাজারটি। নিয়মনীতির তোয়াাক্কা না করে তারা বাজারটিতে গড়ে তুলেছে একের পর এক বহুতল আবাসিক ভবন। ১৫ বছর আগেও বাজারটি ৫ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছিল। দখলের কারণে বাজারটির স্থান সংকুচিত হয়ে আসতে থাকায় গেল বছর মাত্র ৭০ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। একাধিকবার পৌর মেয়রকে বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা পেতে হয়রানি, ঘুষ-দুর্নীতির শিকার সেবাপ্রত্যাশী জনসাধারণ এবং সেবাপ্রদানকারী বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অংশগ্রহণে গত ০৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানি করা হয়।জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় গণশুনানিতে সদর উপজেলার ৩৪টি সরকারি দপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষসহ মোট ৬০টি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বেদখল হওয়া হাটের জমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেন। উক্ত গণশুনানী শেষ হওয়ার পর তিন মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই হাটের জমি উদ্ধারের। উল্টো সম্প্রতি অবৈধ দখলদাররা ২০ মি.মি রড দিয়ে বহুতল ভবন নিমানের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ঘটা করে গণশুনানীর আয়োজন করে অভিযোগ নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ সুরাহার কোন ব্যবস্থা না গ্রহণ করে লুকোচুরি খেলার এমন আয়োজনে বিস্মিত সচেতন মহল। তারা অবিলম্বে ঠাকুরগাঁও রোড বাজারের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার ও নতুন করে বহুতল ভবন নির্মান কাজ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।