রংপুর মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই চক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এমন ছিনতাই চক্রের এমন দৌরাত্ম্য হয়েছে।
গত কয়েক দিনে নগরীতে কয়েকজন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। পাশাপাশি ছুরিকাঘাতে আহত হবারও ঘটনা ঘটেছে। এতে পথচারী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে রংপুরবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলসহ ছিনতাই রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছেন।
জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর লালবাগ থেকে মডার্ন মোড় সড়ক, সাতমাথা থেকে মডার্ন সড়ক, দর্শনা- টার্মিনাল সড়ক, মডার্ন টু দমদমা, শাপলা চত্বর থেকে স্টেশন তাজহাট সড়ক, জাহাজ কোম্পানি থেকে সাতমাথা মাহিগঞ্জ সড়ক, জুম্মাপাড়া টু কুকরুল সড়ক, হারাগাছ সড়কসহ নগরীর স্টেশন, কামাল কাছনা, রংপুর সরকারি কলেজ এলাকা, লালবাগ কারমাইকেল কলেজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার অলি-গলির সড়কগুলোতে ছিনতাই বেড়ে গেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমিত উপস্থিতির সুযোগে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। পাশাপাশি ছুরিকাঘাতে আহত হন।
সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে রংপুর নগরীর লালবাগ থেকে মডার্ন মোড় ও দর্শনা-মেডিকেল সড়কে। মঙ্গলবার লালবাগ কলেজিয়েট স্কুলের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন এক ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
বুধবার শাহিন নামের এক যুবক ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে সবকিছু হারান। একই পরিস্থিতি নগরীসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে। ছিনতাই থামছে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লালবাগ থেকে মডার্ন সড়কে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে পুলিশের টহল থাকায় কিছুটা ছিনতাই বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকার পতনের পর নতুন করে ছিনতাই বেড়ে যায়। প্রশাসনের টহল না থাকার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ছাত্রাবাসগুলোতে বসবাসরত শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
নগরবাসী ও পথচারীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতির কারণে ছিনতাই বেড়েছে। অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। দ্রুত এর পরিত্রাণ প্রয়োজন। এজন্য রংপুরের প্রশাসনের উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীসহ বিভিন্ন সড়কে টহল জোরদার করার দাবি করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের আইনের সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান।