দিনাজপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলালসহ আটজনের বিরুদ্ধে একদিনে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২১ আগস্ট) মামলাগুলো করেন দিনাজপুর জেলা দুদক কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা।
দিনাজপুর দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম জানান, দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল, ঠিকাদার এস এম শফিকুল আলম ডাবলু, বিরামপুর পৌরসভার নকশাকার এস এম রবিউল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জুয়েল মিয়া, দিনাজপুর জেলা কারাগারের অবসরপ্রাপ্ত জেল সুপার সাঈদ হোসেন ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং ব্যবসায়ী রাহেনুল ইসলামের নামে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত জেল সুপার সাঈদ হোসেনের নামে দুটি মামলা করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলালের মোট আয় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫৮ টাকা। যার মধ্যে ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ৩০৬ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত। বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী সরকার টুটুল নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ত্রুটিপূর্ণ নকশা বাতিল হওয়ার পরও মার্কেট নির্মাণ এবং বিভিন্ন বাজারের খাস কালেকশন করে ৪ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকা আয় করেন; যা ঠিকাদার এস এম শফিকুল আলম ডাবলু, বিরামপুর পৌরসভার নকশাকার এস এম রবিউল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জুয়েল মিয়াসহ পরস্পর জোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
দিনাজপুর জেলা কারাগারের অবসরপ্রাপ্ত জেল সুপার সাঈদ হোসেনের তার চাকরিকালীন সময়ে মোট ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৫১ টাকা অর্জিত সম্পদ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৮৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩০২ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত। তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জ্ঞাত আয়ের চেয়ে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৯ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগ-দখলে রেখে তথ্য গোপন করেন। এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া মজিদপুর গ্রামের ভাটা ব্যবসায়ী ও আর এম আয়রন ইন্ডাস্ট্রিজের লিমিটেডের মালিক রাহেনুল ইসলামের বিরূদ্ধে ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় এসব মামলা করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ এবং দুদক দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান।
দুদক দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন মামলা বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।