লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার একটি শালবনে নিয়ে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- হাতীবান্ধার দক্ষিণ গোতামারী গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৩২), দইখাওয়া বাজার এলাকার রোকন (৩০), রাকিবুল ইসলাম (১৯), আল আমিন (১৯), রতন মিয়া (২৮) এবং নওদাবাস এলাকার সুলতান (৪০)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক ব্যবসায়ীর ছেলে ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে প্রথমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ওই ভিডিও দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার শালবনে নিয়ে তাকে কয়েকজন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। গতকাল শুক্রবার ওই কলেজছাত্রীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে উপজেলার দইখাওয়া বাজারের ব্যবসায়ী দক্ষিণ গোতামারী গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে সাত্তার। গোপনে বন্ধুকে দিয়ে মোবাইলে ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে সাত্তার ও তার এক বন্ধু আবারও ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। গত বৃহস্পতিবার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যায়। সেখানেও সাত্তার ও তার বন্ধুরা ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এতে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় তারা।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, ‘ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রবিবার সকালে লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।’