অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এতে ভাঙন ও হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের পাখিউড়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ থেকে ড্রেজার ও ভেকু বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এ কারণে হুমকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী মানুষের ঘরবাড়ি-ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। এসব বালু ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু উত্তোলন করা ব্যক্তিরা খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা,কথা বলারও সাহস পাচ্ছে না কেউ।
নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, যেভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন বালু খেকোরা, এতে বন্যার সময় নদী ভাঙনের কবলে পড়বে নদী তীরবর্তী মানুষরা। বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি, জমিজমা ও গাছপালা। পরে স্ত্রী-সন্তান, গরু, ছাগল নিয়ে অন্যের ভিটায় ঠাঁই নিতে হবে তাঁদের।
নাম প্রকার না করার শর্তে পাখিউড়া এলাকা বাজারের এক ব্যক্তি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাক্টর (কাকঁড়া গাড়ি) দিয়ে পরিবহণ করা হচ্ছে। এতে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথযাত্রীদের চলাচলে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ধুলাবালি লেগে সর্দি কাশির মতো রোগ হচ্ছে। আবার কাকঁড়া গাড়ির দুর্ঘটনায় অনেকে আহত ও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শফি আহমেদ বলেন, আমার একটা ভেকু চলমান রয়েছে। তা ট্রাক্টরের (কাকঁড়া গাড়ি) মাধ্যমে রৌমারীর সায়দাবাদ এলাকার ইট ভাটায় মাটি দেওয়া হচ্ছে।
ড্রেজার মালিক এমদাদুল হকের দাবি, তার কাছ থেকে বাড়ির ভিটা উঁচু করার জন্য মাটি নিচ্ছে অনেকে। এতে তো ক্ষতি হচ্ছে না, বরং মানুষের উপকার হচ্ছে।
রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর আহমেদ বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তার জানা নেই তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।