Sunday, March 16, 2025
Homeব্যবসা ও অর্থনীতিরাজস্ব আয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি গরমিল

রাজস্ব আয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি গরমিল

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চেয়ার ধরে রাখতে রাজস্ব আয় বেশি দেখানোর কৌশল নিয়েছিলেন সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম। গত অর্থবছরে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা বেশি আয় দেখিয়েছেন। সিজিএ ও এনবিআরের তথ্যে মিলেছে এমন বিস্তর ফারাক। তথ্যের গরমিল বন্ধে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন নতুন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

রাজস্ব আয় অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা শুরু হয় সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সময়ে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এনবিআর ও অর্থমন্ত্রণালয়ের হিসাবে পার্থক্য দেখা দেয় ১৩ হাজার কোটি টাকা। অভিযোগ আছে, সরকারের সুনজরে থাকতে রাজস্ব আয় বাড়িয়ে দেখাতেন নজিবুর রহমান। পরবর্তী চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া গোঁজামিল থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু রহমাতুল মুনিমের সময়ে আগের ধারায় ফিরে যায় এনবিআর।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নীতি নির্ধারকের জন্য এটা কিন্তু খুবই দরকার যে প্রকৃত অবস্থাটা তাদের জানা দরকার। তাহলে তারা বুঝতে পারবেন কখন কোন নীতি গ্রহণ করবেন, কোন নীতি বাস্তবায়ন করবেন।’

২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাবের ফারাক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ। রহমাতুল মুনিম প্রশাসনের দাবি, রাজস্ব আয় হয়েছে তিন লাখ ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু হিসাব মহানিয়ন্ত্রক সিজিএ’র হিসাবে, কোষাগারে জমা হয়েছে তিন লাখ ৫৯ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা।

আয়কর, ভ্যাট ও আমদানি শুল্কে সবচেয়ে বেশি পার্থক্য ধরা পড়েছে ভ্যাটে। এনবিআরের দাবি, ভ্যাট আয় এক লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা প্রায়। কিন্তু সিজিএ’র হিসাবে জমা হয়েছে, এক লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। আয় করে পার্থক্য সোয়া চার হাজার কোটি। আর আমদানি শুল্কে কম-বেশি এক হাজার কোটি টাকা। এনবিআরের এমন তথ্যে হতাশা জানিয়েছেন নতুন চেয়ারম্যান।

এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের একটা বড় ইমেজ সংকট আছে, যেটা নিয়ে বাইরে হাসহাসি হয়। সেটা হলো এনবিআর ট্যাক্স সংগ্রহটা ওভার স্ট্রেইট করে এবং এটা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সিজিএ সঙ্গে মেলে না। আমি আগামীকাল থেকেই এটা আমি বদ্ধ করতে চাই।’

রাজস্ব আয়ের হিসাব নির্ধারণে আইবাস প্লাস প্লাস ব্যবস্থাকে ভিত্তি ধরার নির্দেশনা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘যখন আয় আইবাসে আসবে কেবল তখনই তা গণ্য হবে।’

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর