Thursday, April 3, 2025
Homeআইন-আদালতঅপরাধ ও দুর্নীতিরাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করে টাকা লুটের অভিযোগ

রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করে টাকা লুটের অভিযোগ

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রংপুর নিউজ ডেস্কঃ
রাজবাড়ীতে নিজ ঘরে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি জয়পুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর গলায় ওড়না প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম সালমা খাতুন (২৫)। তিনি হাউলি জয়পুর গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী আজাদ মল্লিকের স্ত্রী। তাঁর সাদিক মল্লিক নামে ছয় বছর বয়সী এক ছেলে ও সিনহা নামে সাড়ে চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সালমার শ্বশুরবাড়িতে দেখা যায়, স্বজনসহ এলাকাবাসী বাড়িতে ভিড় করেছেন। স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
সালমার শাশুড়ি লতা বেগম বলেন, গতকাল ঈদের দিন রাত ১১টার দিকে সালমা দুই শিশুসন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে সালমার ঘরের সামনে গিয়ে নাতি সাদিককে ডাক দেন। এ সময় সাদিক ঘরের ভেতর থেকে কান্না করে বাইরে থেকে দরজা খুলতে বলে। তখন তিনি দেখেন, ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। তিনি দরজা খুলে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখেন, খাটের ওপর সালমার লাশ। তাঁর শরীর কাঁথা দিয়ে ঢাকা এবং গলায় ওড়না দিয়ে টাইট করে প্যাঁচানো। তাঁর দুই পাশে দুই সন্তান বসে আছে।

লতা বেগম আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ঈদের আগে সৌদি আরব থেকে এক লাখ টাকার ওপরে পাঠিয়েছে। ঈদের আগে ওই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে ঘরেই রাখে। সালমাকে হত্যা করে ঘর থেকে ওই টাকা ও সালমার নাকের নাকফুল নিয়ে গেছে।’

শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরেই সালমার বাবার বাড়ি। ওই বাড়িতেও স্বজনদের আহাজারি। বাড়ির উঠানে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে চেয়ারে বসে আছেন বাবা সালাম শেখ। তিনি বলেন, ‘ওর (সালমা) সঙ্গে কারও কোনো বিবাদ নেই। কারা, কী কারণে হত্যা করেছে, জানি না। আমি আমার একমাত্র মেয়েকে হত্যার বিচার চাই।’

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, সালমা খাতুনের গলায় ওড়না প্যাঁচানো মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটন এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর