Sunday, March 16, 2025
Homeনীলফামারীমেহেদি রাঙানো নববধূকে দুই হাত বেঁধে নদীতে ফেলে দেন স্বামী

মেহেদি রাঙানো নববধূকে দুই হাত বেঁধে নদীতে ফেলে দেন স্বামী

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী:

জোসনা বানু (১৮) নামের নববধূকে তার স্বামী জাহিদ ইসলামই (২০) হত্যা করেছিলেন। দুই হাত বেঁধে সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে নববধূকে হত্যা করেন জাহিদ। জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার চৌরাহা মাদরাসা এলাকার তিস্তার চর থেকে জোসনার মেহেদি রাঙানো হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জাহিদ ইসলামকে (২০) আটক করা হয়।

জোসনা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের জহর আলীর মেয়ে। সম্প্রতি একই উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জাহিদ দিনাজপুর শহরে ভেকু গাড়ি চালান বলে জানা গেছে।

জাহিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পরপরই জোসনা স্বামীর কাছে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য জেদ ধরেন। জোসনা জাহিদকে জানান, তিনি জাহিদের সঙ্গে ঢাকায় থাকতে চান। ঢাকায় না নেওয়া হলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন জোসনা। এ কথা শুনে জোসনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জাহিদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শুক্রবার বিকেলে জাহিদ ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে জোসনাকে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে শেখ হাসিনা সেতুতে বেড়াতে নিয়ে যান। এরপর হাত বেঁধে ওই সেতু থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে জোসনাকে হত্যা করেন জাহিদ।

ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, জোসনা নিখোঁজের দুই দিন পর জাহিদ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে থানায় আসেন। পরে উদ্ধার হওয়া মরদেহের ছবি দেখে তার স্ত্রী জোসনার বলে নিশ্চিত করেন এবং স্ত্রী নিখোঁজের সময় দিনাজপুরে ছিলেন বলে জানান জাহিদ।

ওসি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জাহিদের অবস্থান নির্ণয় করি। এরপর তাকে আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপর জাহিদকে ঘটনাস্থলে নেওয়া হয়। তখন জাহিদ নিজেই হত্যার ঘটনার বর্ণনা দেন।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর