আরিফুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদা দাবির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে গ্রিন সিটি ইকোপার্কের মালিক আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় নাহিদের নাম উল্লেখসহ তাঁর সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাত ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রোববার গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গঙ্গাচড়ার পূর্ব খলেয়ায় একটি নির্মাণাধীন পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে নাহিদ হাসান খন্দকার এক লাখ টাকা এককালীন ও প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেছেন।
সম্প্রতি নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে একটি বালু মহালে গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে। তার চাঁদাবাজির চেষ্টার ভিডিও, অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নাহিদকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ওই নেতা চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসছেন শুরু থেকেই। তার দাবি, তাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ এই কাজ করেছেন।
দুই মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওতে নাহিদ হাসান খন্দকারকে দেখা গেলেও অপরপাশে থাকা ব্যক্তিকে দেখা যায়নি।ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে নাহিদ হাসান খন্দকারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল অপরপাশে থাকা এক ব্যক্তির। সেখানে অপরপাশে থাকা ব্যক্তিটি নাহিদ হাসানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তুমি যদি বলো সেখানে বালুর ব্যবসা হচ্ছে, তাহলে সেটা বন্ধ করে দেই। এক লাখ টাকা দিতে পারবো না, পাঁচ হাজার টাকা দিচ্ছি।”
ভিডিওর কথোপকথনে নাহিদ বলেন, ‘ব্যবসা আপনি বন্ধ করবেন কেন, ব্যবসা আপনি চালান। ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজনে সময় নেন। আপনি তো দেখছেন বিষয়টি কোথায় গেছে, ইউএনও–ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে। যদি মনে হয় কিছু কমাবেন, তাহলে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমি চাই না আপনাদের কোনো সমস্যা হোক। জানেন তো, সংগঠন চালাতে হলে কী কী করতে হয়।’
গত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউল্যাব শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমতিকে আহ্বায়ক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রহমত আলীকে সদস্য সচিব করে ৬ মাস মেয়াদি রংপুর মহানগরের ১১২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে রংপুর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান খন্দকারকে মুখপাত্র করা হয়।