মোঃ রেজাউল করিম স্বাধীন,নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা অতিক্রম করার সময় শনিবার দুপুরে ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন যুব সমাজের মধ্য প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক দূষণ, কার্বন নির্গমন হ্রাস, ও পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
এই অনন্য যাত্রায় তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে হেঁটে নেপালের মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ৯০ দিনে জয়ের চেষ্টা করবেন। একজন অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ও লেখক হিসেবে এটি হবে তার জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৭ তারিখে বাংলাদেশের শেষ বর্ডার বাংলাবান্ধায় পৌছাবেন ২৮ তারিখে ভারত হয়ে নেপালে যাবেন মোট ১৩৫০ কিঃ মিঃ এই দীর্ঘ পথ ৯০ দিনে পাড়ি দিবেন বলে জানান। পর্বত জয়ী ও লেখক হিসেবে সুপরিচিত ইকরামুল হাসান শাকিল এবার তার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযান, সী টু সামিট শুরু করেছেন। এই অভিযান তিনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয়েছে। এই দীর্ঘ যাত্রায় শাকিল প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক দূষণ, কার্বন নির্গমন হ্রাস, ও পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন। আমরা টাইটেল স্পনসর হিসেবে শাকিলের এই অসাধারণ উদ্যোগের পাশে আছি। তার এই অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা, মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার আগ্রহ জাগাবে বলে মনে করেন শাকিল।
পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ পর্বতারোহণ ক্লাব ‘বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এন্ড ট্রেকিং ক্লাব’ এর সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে ভারতের উত্তরকাশীতে অবস্থিত ভারতের সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং থেকে পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ২০১৮ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে পর্বতারোহণের উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্য অভিযান: ২০১৩: কোলকাতা থেকে ঢাকা সলো ট্রেকিং। ২০১৫: মাউন্ট কেয়াজো-রি (সামিট, ২০ হাজার ২৯৫ ফুট), নেপাল। ২০১৭: লারকে পিক (২০ হাজার ৫০২ ফুট), নেপাল। ২০১৭: মানাসলু সার্কিট ও লারকে পাস অতিক্রম (১৬ হাজার ৭৫২ ফুট), নেপাল। ২০১৮: দ্রৌপদি-কা-ডান্ডা-২ (সামিট, ১৮ হাজার ৭১১ ফুট), ভারত। ২০১৯: হিমলুং হিমাল (সামিট, ২৩ হাজার ৩৮০ ফুট), নেপাল।