পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মৈত্রী চা কারখানায় জেলা প্রশাসনের অভিযানে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ০৭ নভেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন, চা বোর্ড, সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে এ জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় চা আইন-২০১৬ এর (২৮) ধারা লঙ্ঘন এর দায়ে (২৯) ধারামতে উক্ত জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মোঃ আমিনুল হক তারেক ( সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) পঞ্চগড়।
পঞ্চগড়ে চা শিল্পে কাঁচা পাতা, বিভিন্ন অনিয়ম ও অবৈধ চা বিপণন সহ সব ধরনের অনিয়মের তথ্যে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়_ চায়ের উপর সব ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। আমরা যৌথভাবে এই অভিযানগুলো পরিচালনা করব।
আরও পড়ুনঃ সমতলের চা কারখানার জন্য হুমকির মুখে গোটা বাংলাদেশের চা ইন্ডাস্ট্রি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন, তিনি বলেন চা শিল্পের সব অনিয়মে ভিত্তিতে আমরা জেলা প্রশাসন, যৌথ বাহিনী ও কমিটির স্বমন্ময়ে এ অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি মহাদয়ের নির্দেশে শীঘ্রই চা চোরাচালান রোধের সফ্টওয়্যার ” টি সফ্ট ” চালু করা হবে। যার মাধ্যমে চা বিপণন প্রক্রিয়া সচ্ছলতা ফিরে আসবে ও শতভাগ চা চোরাচালান রোধ হবে।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে অবৈধ চায়ের বস্তা আটক
উল্ল্যেখ যে, পঞ্চগড়ের সমতলে চা শিল্পে বাংলাদেশের মোট চাহিদার প্রায় ২৫% চায়ের উৎপাদন পূরন করে। এছাড়া এখন সমতলের চা শিল্পে উৎপাদনের দিক থেকে ২য় অবস্থানে রয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে অবৈধভাবে নিলাম বহির্ভূত করে সরাসরি কারখানা থেকে চা বের হচ্ছে ও মার্কেট পর্যায়ে এর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। অপরদিকে হুমকিতে রয়েছে চা নিলাম কেন্দ্র ও পাশাপাশি চায়ের উপকর থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে অবৈধ চায়ে মাসে আড়াই কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে কুরিয়ারের মাধ্যমে।
এ সকল সব কিছু সমাধান করলে সচ্ছতায় ফিরবে পঞ্চগড়ের চা শিল্প। এমন অনিয়ম ও অভিযান পরিচালনা চান স্থানীয় সাধারণ মানুষ।