- ডিজিএম জসিমের ছত্রছায়ায় দালাল চক্র
- অবৈধ ভাবে গ্রাহক থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
- মাসের পর মাস গ্রাহকের আবেদন পড়ে থাকে
আব্দুল হাই,নাগেশ্বরী (প্রতিনিধি) কুড়িগ্রাম:
পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের হয়রানি ও দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধ সংযোগ স্থাপনসহ
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের
ডিজিএম জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী অবৈধ সেচ স্থাপন ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলার সময় সাহেব সম্বোধন না করায় মেজাজ হারিয়ে ক্ষিপ্ত
হয়ে ওঠেন ছাত্র অধিকার নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসানের উপর।
একপর্যায়ে গণ অধিকার পরিষদকে নিয়েও বিভিন্ন রকম বাজে কটুক্তিসহ মেহেদী
হাসানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ডিজিএম জসিমের বিরুদ্ধে।
জসীম উদ্দিনের সাথে অফিসে সাক্ষাৎ করে জানতে চাওয়া হয়, তাকে কি
ডিজিএম সাহেব বলতে হবে ? জসীম উদ্দিন বলে তাকে অবশ্যই ডিজিএম সাহেব
বলতে হবে । তাকে ডিজিএম সাহেব বললে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তিনি
বলেন ইউএনও কে স্যার বলতে পারলে আমাকে সাহেব বলতে সমস্যা কি ?
ডিজিএম জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগের অবৈধ আর্থিক
লেনদেনেরও অভিযোগ রয়েছে। মিটার ও লাইন সংযোগের জন্য গ্রাহক কে গুনতে হয়
১০ থেকে ১৫ হাজার ও খুটির জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ
ওঠেছে। অবৈধ আর্থিক লেনদেনের পুরো টাকা দালাল চক্রের মাধ্যমে হাতিয়ে
নিচ্ছেন তিনি। হাসনাবাদের একজন গ্রাহক বলেন, আমি একটি খুটির জন্য
আবেদন করেছি প্রায় তিন মাস চলছে ,এখনো কোন অগ্রতি নাই। ইন্সপেক্টর
মাহফুজ পরিদর্শনের সময় পান না বলেন জানান। অথচ দালালের মাধ্যমে আবেদন করলে
দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ মিলছে।
নারায়নপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স পেয়েছি কিন্তু বিদ্যুৎ
সংযোগ এখনো পাইনি, আমার আশেপাশে যারা দালালের মাধ্যমে আবেদন করেছে
তাদের সংযোগ দ্রুত হয়েছে।
পলাতক হাসিনার সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১
অফিসে থাকাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা আর
দুর্নীতির আর্তুরঘর বানান সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।
তার অপকর্মের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। সে সময়েও
অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছিল স্থানীয় গ্রাহক ও সাধারন মানুষ। স্থানীয়
গ্রাহকদের প্রতিবাদের মুখে সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
অনিয়ম দুর্নীতির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জসিম উদ্দিন
চাকুরিচ্যুত হন বলে একটি সুত্র বলছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে সে সময়ে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের
ম্যানেজ করে ফের স্বপদে বহাল হন। ছাত্রজনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের
পর নিজেকে আড়াল ও অপকর্ম ঢাকতে নাগেশ্বরী জোনাল অফিসে কৌশলে বদলী
নেন। নাগেশ্বরীতে তার শাস্তিমুলক বদলি,একটি সুত্র দাবি করছে। শাস্তিমূলক বদলী
হলেও বদলায় নি ‘আসল চেহারা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন দুর্নীতিবাজ ডিজিএম
জসিম উদ্দিন কে প্রত্যাহার করা না হলে,নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের সামনে
গ্রাহক,ছাত্রজনতাকে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসুচী
দিতে বাধ্য হবে।