রংপুর নিউজ ডেস্কঃ
সারা দেশের মতো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন দিনাজপুর আন-নুজুম ইসলামিক একাডেমির পরিচালক মাওলানা মাহফুজুর রহমান।
ঐতিহাসিক এই মাঠে ঈদের জামাতে অংশ নিতে দিনাজপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মুসল্লিরা আসেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজে অংশ নিয়েছেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন, দিনাজপুর পৌর প্রশাসক রিয়াজুল ইসলামসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক দলের নেতারা।
নামাজ শেষে জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে সুন্দরভাবে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা ছিল। আগামী দিনে মুসল্লিরা যেন আরও ভালোভাবে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারে প্রশাসন সেদিকে নজর রাখবে।
বৃহৎ এই ঈদ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। মাঠের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছিল ওয়াচ টাওয়ার। ঈদগাহ মিনারের পশ্চিম প্রান্তে মুসল্লিদের অজুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ময়দানের চারদিকে ২১টি ফটক নির্মাণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরে গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ মাঠের আয়তন ২২ একর। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে ছোট পরিসরে এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৫ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে এই ঈদগাহ মিনারটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে মিনার নির্মাণের কাজ শেষ হয়। ওই বছর প্রথম বড় পরিসরে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।