ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চিকার হাট এলাকায় অবস্থিত দলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি মধ্য থেকে ১টি মুল্যবান মেহগনি গাছ অবৈধ্য ভাবে কেটে ফেলে আত্মসাত করার চেষ্টা করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবলুর রহমান। স্কুলের গাছ কাটাসহ কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না এই শিক্ষক। এই নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গাছ কাটলেও এখনও প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, দলুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পাশেই একটি বড় মেহগনি গাছে কেটে ফেলা হয়েছে। স্কুলের পাশেই গাছের লকগুলো স্থানীয়রা আটক করে রেখে দিয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, গাছটি কেটে বিক্রি করার পায়তারা করছিল প্রধান শিক্ষক বাবলু। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে গাছটি আটক করে চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবলুর রহমান গাছ কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওয়াশ রুম করার জন্য জনস্বাস্থের প্রকৌশলীর পরামর্শে গাছটি তিনি কেটেছেন। তবে গাছ কাটার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ইউএনও মহোদয়কে তিনি অবগত করেননি বলেও জানিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম স্কুলে গাছ কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে নিয়ম মেনেই গাছ কাটতে হয় যেটি প্রধান শিক্ষক করেন নি। গাছটি নিলামে তোলার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,গাছ কাটার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
-আল মামুন/নীলফামারী