মো. নাঈম শাহ্, নীলফামারী প্রতিনিধি:
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো নীলফামারী সরকারি কলেজে দুইদিন ব্যাপী জমজমাট বসন্ত ও পিঠা উৎসব। ভাপা, চিতই, চন্দ্র পুলি, পাটি শাপটা, নকশি, দুধপুলি, কলি,ফুল,ময়ুরাক্ষী, ডিম বাহারী,বিবিখানা, সুজি, নারকেল,তেল, রসপিঠাসহ নানান ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রীরা খোপায় বিভিন্ন ফুলের তৈরি মালা আর পরনে নানা রঙের বাসন্তী শাড়ী। শুধু শিক্ষার্থী নয় বর্ণিল সাজে সেজেছিল পুরো ক্যাম্পাস।
কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বরের সামনে বর্নিল সাজে প্রত্যেক বিভাগের নিজ নিজ ব্যবস্থায়, বসেছে প্রায় ১৭টি পিঠা স্টল। প্রতিটি স্টলে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নীলফামারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত কাশফুল সাংস্কৃতিক অঙ্গন’এর আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী পিঠা ও বসন্ত উৎসবের সমাপ্তি হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পিঠা উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। শেষ দিনের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম সহ আরও অনেকে পিঠা স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
এসময় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, কাশফুল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রধান উপদেষ্টা কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তারিকুল আলম লিখন, কাশফুল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাবেক সভাপতি ও জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কাশফুল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সভাপতি সাবেক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, বাঙালির লোকজ সংস্কৃতিকে সমুন্নত করতে ও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে নীলফামারী সরকারি কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বসন্তের সাথে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করি।
কাশফুল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রধান উপদেষ্টা মো. তারিকুল আলম লিখন বলেন , পিঠা উৎসবে ১৭টি স্টলের মধ্যে কলেজের ১৪টি বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট) শিক্ষার্থীরা ১৪টি, কাশফুল সাংষ্কৃতিক অঙ্গন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি এবং রক্ত দানকারী সংগঠণ ‘বাধন’ এর একটি স্টল রয়েছে।