গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর উপজেলার মংলা বাজারের কাপাড় ও বিকাশ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক দুই সপ্তাহ আগে শুক্রবার দিন দোকন বন্ধ করে জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে তার দোকানে দিনে-দুপুরের দুধর্ষ চুরির সংঘটিত হয়। চোরেরা তার দোকান থেকে সাত লাখ টাকা চুরি করে। হাকিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
ঘটনার কয়েকদিন পর এই এলাকার যুবক জহুরুল তার ৪ মাসের অন্ত:সত্তা স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। এবং তার সাথে আর সংসার করবেনা বলে শ্বশুরবাড়ির লোকদের চাপ দিতে থাকে। সে পেশায় একজন দিনমজুর। মোহরানার আড়াই লাখ টাকা নগদে পরিশোধ করবে বলে বারবার তাগাদা দেয়। এরপর শুক্রবার বিকেলে স্থানীয়রা ও শ্বাশুর বাড়ির লোকজন বসে তালাকের সীদ্ধান্ত হয়। বাবার বাড়ি থেকে দেয়া কাপড় ও আসবাবপত্র গোছাতে শুরু করে তার স্ত্রী মিনারা বেগম। এ সময় ঘরের এক কোনায় লুকিয়ে রাখা অনেকগুলো টাকা দেখতে পান। বিষয়টি উপস্থিত লোকজনকে জানতে পারলে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। এরপর তাকে উত্তম মধ্যম দিলে চুরির বিষয়টি স্বীকার করে।
প্রতিবেশী তাছির উদ্দিন বাপ্পি জানান, ওই চুরি সংঘটিত হওয়ার পর জহরুলের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। সে দিন মজুর। তার নিজস্ব কোন জয়গা জমি নেই। কয়েকদিন থেকে শুনছি সে অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীকে নগদ মোহরানার টাকা পরিশোধ করে তালাক দিচ্ছে। এটা শোনার পর তিনি সন্দেহ করেছিলান কয়েকদিন আগে বাজারে দোকন থেকে চুরির বিষয়ে তার হাত থাকতে পারে।
উপজেলার মংলা বাজারের ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার দোকানের কিছুটা অদূরে চোর জহরুলের বাড়ি। তার বাড়িতে গিয়ে দেখি কয়েকজন তাকে বেঁধে রেখেছে। এবং সে আমার দোকান থেকে টাকা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
হাকিমপুর থানা ওসি সুজন মিয়া জানান, এ ঘটনায় জহুরুলসহ মোট তিন জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে তারা চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। এবং জহরুলের কাজ থেকে নগদ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মংলা বাজারের আফতাব উদ্দিনের ছেলে জহুরুল (২২), সাতকুড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে শাহাজুল (৩২) নওদাপাড়া বিলের পাড়া গ্রামের মহাতাব উদ্দিনের ছেলে তাইজুল (৩৫)।