রংপুর নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানাধীন দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের বেপরোয়া একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার তিনজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাছা থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় একজন নিহত হন।
রোববার (৩০ মার্চ) সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার ঘোড়িয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। আহতরা হলেন: নিহত দম্পতির ছয় বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলে, কোনাবাড়ি এলাকার এনামুল (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের অজিত চরণ (৪৫) এবং গোঙ্গাচরণ (৮০)।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি অটোরিকশা উল্টো পথে আসছিল। এমন সময় তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রার দিকে আসার সময় কোনাবাড়ির দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। অটোরিকশাটিতে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান এবং চালকসহ ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে মেডিকেল নিলে তিনজন মারা যান।
নিহত নাজমুল হোসেনের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, নিহতরা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সকালে বাড়ির উদ্দেশে টাঙ্গাইল আসার জন্য অটোরিকশায় করে কোনাবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর পর তাদেরকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে নেয়ার সময় পথে মারা যান। তাদের সন্তান দুজনকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাছা থানাধীন সাইবোর্ড এলাকায় সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক পথচারীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান লিটন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।