অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
রাজীবপুরের ঢুষমারার এরিয়ায় ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে কৃষকের ৮ বিঘা জমির ১২০ মণ ফসল (গম) কেটে নেওয়া হয়েছে ও বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। তাইজুদ্দিন (৫৫), নহন উদ্দিন ও সোনাল গংদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চর বাঘমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিনে ঢুষমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক সাইফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী কৃষক সাইফুল ইসলাম গংরা রৌমারী উপজেলা বন্দবেড় ইউনিয়নের চর বাঘমারা এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী কৃষক সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তফশিল বর্ণিত জমিতে দীর্ঘ দিন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে চাষাবাদ করে ভোগ-দখল করে আসছেন সাইফুল ইসলাম গংরা। উপজেলার ঢুষমারা থানা এরিয়ার কালিকাপুর মৌজায় সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে ফসল (গম) রোপণ করা হয়। সেই জমি অবৈধভাবে জবরদখলের পাঁয়তারা করে আসছেন তাইজুদ্দিন গংরা। এ নিয়ে কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হন না প্রতিপক্ষরা। পরে বিগত মৌসুমে ওই জমিতে ফসল (গম) রোপণ করা হয়। সেই ফসল (গম) কাটার উপযুক্ত হলে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও ধারালো ছোরা নিয়ে রোপণ করা ফসল ১২০ মণ (গম) জোর করে কেটে নিয়ে যায় তাইজুদ্দিনসহ তার ভাড়াটিয়া লোকজনরা। যার মূল্য হবে এক লাখ আশি হাজার টাকা। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রাজীবপুরের ঢুষমারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় পুলিশ তদন্ত শুরু করলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রতিপক্ষরা। পরে শনিবার (১৫ মার্চ) সাড়ে ১১টার দিকে লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও ধারালো ছোরা নিয়ে রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের চর বাঘমারা গ্রামে তাদের বসতবাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ হামলা চালায় প্রতিপক্ষ তাইজুদ্দিনসহ তার ভাড়াটিয়া লোকজন।
স্থানীয় আলিম উদ্দিন, জহর আলী, মোসলেম ও শাহেব আলীসহ আরও অনেকে বলেন, ওই জমিটি দুঃখী হাজির পৈতৃক সম্পত্তি। তিনি মারা যাওয়ার পর তার সন্তানরা ভোগ দখল করে চাষাবাদ করে আসছেন। এই জমিটি আবার জোর করে জবরদখলের চেষ্টা করছেন তাইজুদ্দিন গংরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় রাজীবপুরের ঢুষমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।