অনিল চন্দ্র রায়,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায়, বাবার নামে চুরির ‘মিথ্যা অপবাদের’ প্রতিবাদ করায় কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের হুকুমদাতা, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস প্রামাণিককে, বিএনপির নেতার দোকানে হামলা ও লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাজারহাট থানা পুলিশ।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তছলিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালে বিএনপি নেতার দোকানে ঢুকে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওই নেতা বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় মামলা করেন,সেই মামলার আসামী ছিলেন আবদুল কুদ্দুস প্রামাণিক।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাবাকে দেওয়া চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করলে ১৫ বছরের নবম শ্রেণির কিশোরীকে টানা ছয় ঘণ্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস প্রামাণিককে বলতে শোনা যায়, কিশোরীটি ভীষণ বেয়াদব,মেরে তাঁর পীঠের চামড়া ছিলে(তুলে) দেওয়া উচিত ছিল।
ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা নিন্দার ঝড় ওঠে,সেই সাথে ওই চেয়ারম্যানকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে থানা ঘেরাও কর্মসূচি হতে পারে বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ পোস্ট করেন।
পরে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত মঙ্গলবার কিশোরীর বাবার করা মামলায় মাইয়া বেগম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তছলিম উদ্দিন বিকাল সাড়ে ৫ টায় জানান, রাজারহাট উপজেলার এক বিএনপি নেতা ২০২৪ সালে তাঁর দোকানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।