রংপুর নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি রয়েলক্রুজ-২ লঞ্চে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ১৩ যাত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় বরগুনার বেতাগী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অভিজিৎ সরকার সুব্রত এ আদেশ দেন।
রোববার (৩০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি রয়েলক্রুজ-২ লঞ্চটি বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। অভিযোগ উঠেছে, লঞ্চের কর্মচারীরা নির্ধারিত ৪০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করেন। যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলে লঞ্চ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়, যাতে দুই পক্ষের অন্তত ২০-২৫ জন আহত হন।
পরদিন সকালে লঞ্চটি বরগুনার বেতাগী লঞ্চঘাটে পৌঁছালে পুলিশ ১৮ জনকে আটক করে। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
লঞ্চের সুপারভাইজার এস এম খাইরুল হাসান শাহীন ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫-২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রোববার তাদের আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় আটক যাত্রীদের মুক্তির দাবিতে বেতাগী থানার সামনে স্বজনরা বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
লঞ্চের সুপারভাইজার খাইরুল হাসান শাহীন বলেন, “বরিশাল অতিক্রমের পর নিরাপত্তার কারণে লঞ্চটি ধীরে চালানো হচ্ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু যাত্রী লঞ্চে ভাঙচুর করেন ও শ্লোগান দিতে থাকেন। তারা লঞ্চের ক্যাশ বাক্সসহ আড়াই লাখ টাকা নদীতে ফেলে দেন এবং আমাকে মারধর করেন।”
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৮ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়, এবং বাকি ৬ জনকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।