সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মর্যাদাপূর্ণ গোল্ডেন রেসিডেন্সি ভিসা অর্জন করেছেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের মহাসচিব কেরামত উল্লাহ বিপ্লব। আমিরাত সরকারের মিডিয়া কাউন্সিলের তালিকা অনুযায়ী ‘এক্সপার্ট জার্নালিস্ট’ ক্যাটাগরিতে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি সাংবাদিক, যিনি এই সম্মাননা অর্জন করেছেন।
আমিরাত সরকার বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান পেশাজীবীদের বিশেষ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন রেসিডেন্সি ভিসা প্রদান করে থাকে। এই ভিসাধারীরা নাগরিক না হয়েও শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, বিমানবন্দরে বিশেষ সুবিধাসহ নানাবিধ সুবিধা পান।
কেরামত উল্লাহ বিপ্লবের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অভিবাসী কর্মীদের জীবনধারা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তার অবদানকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিডিয়া কাউন্সিল বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেছে। মানবিক সাংবাদিকতার প্রসার ও বিকাশে এই উদ্যোগকে অনন্য বলে মনে করছেন তিনি। এজন্য দেশটির সরকারকে তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ কেরামত উল্লাহ বিপ্লব তার ফেসবুক পোস্টে এই অর্জনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সংযুক্ত আমিরাত সরকার বিশেষ ক্যাটাগরীতে আজ অফিসিয়ালি ‘গোল্ডেন রেসিডেন্সি’ দিয়েছে। তাদের মিডিয়া কাউন্সিলের তালিকা অনুসারে ‘এক্সপার্ট জার্নালিস্ট’ ক্যাটাগরির মর্যাদায় এ সন্মান এর আগে কোন বাংলাদেশী পাননি।”
গোল্ডেন রেসিডেন্সি প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, “বিদেশে যত সন্মান সেটা হলো কর্মক্ষেত্র। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, ভালোবাসা এবং ঠিকানা। সবার আগে আমি বাংলাদেশী, এটাই আমার গর্বের।
এর আগে ভারত থেকে বলিউড সুপারস্টার রজনীকান্ত, শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্ত, টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাসহ বেশ কিছু বিদেশী নাগরিক আরব আমিরাতের গোল্ডেন রেসিডেন্সি ভিসা পান। এছাড়া বিনিয়োগ, ব্যবসাসহ নানা ক্ষেত্রে বহু প্রবাসী ভারতীয় ও বাংলাদেশী গোল্ডেন রেসিডেন্সি পেয়েছেন।
সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের মহাসচিব কেরামত উল্লাহ বিপ্লবের এ অর্জনে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।