রাশেদ নিজাম শাহ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
আজ বৃহস্পতিবার(২৭মার্চ) ২৬ রমজান দিবাগত রাত যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় সারা দেশব্যাপী পবিত্র শবে-কদর পালিত হচ্ছে।
লাইলাতুল ক্বদর এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী।
আরবি ভাষায়‘লাইলাতুল’অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং‘কদর’শব্দের অর্থ সম্মান,মর্যাদা, মহাসম্মান।
এ ছাড়া এর’অন্য অর্থ হচ্ছে-ভাগ্য,পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন।হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
মূলত কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার কারণেই লাইলাতুল কদর মহিমান্বিত ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হয়েছে।৬১০ খ্রিষ্টাব্দে শবে কদরের রাতে মক্কার জাবালে নুর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত রাসুল (সা.)ওপর সর্বপ্রথম কোরআন নাজিল হয়। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন,‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে।’ (সুরা কদর,আয়াত: ১)এ রাতে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স,মৃত্যু,রিজিক, সবকিছুর পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাদের লিখে দেওয়া হয়,এমনকি কে হজ্জ করবে,তাও লিখে দেওয়া হয়।যেমন,আল্লাহ বলেন সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, আমার নির্দেশে।’(সুরা দুখান,আয়াত: ৩-৫)
এ রাতের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো,আল্লাহ–তাআলা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা অবতীর্ণ করেছেন,সুরা ক্বদর’ যা কিয়ামত পর্যন্ত পঠিত হতে থাকবে।