গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি:
আর কটা দিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে মুসলমানদের ইবাদত রোজা। আর এই রমজানে ছোলাবুট থেকে শুরু করে মশুড়,খেসারী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যায়। যার কারণে রমজানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছোলা বুট, মশুরের ডাল,খেসারীর ডাল,মাশ কালাইয়ের ডাল জিরা সহ বিভিন্ন পণ্য। দেশের খোলাবাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে এসব পণ্যের আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যাংক থেকে চাহিদা
মাফিক এলসি দিলে পণ্য আমদানি আরও বাড়বে এবং কমে আসবে দাম।
কাস্টমস সূত্রে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেব্রুয়ারী শুরু থেকে ২৫তারিখ পর্যন্ত ছোলা বুট আমদানি হয়েছে ৩৭ ট্রাকে ১ হাজার ৩শ ৩২ মেট্রিকটন, জিরা আমদানি হয়েছে ৭৬ ট্রাকে ১ হাজার ৯শ ৯৬ মেট্রিকটন, খেসারি ডাল আমদানি হয়েছে ১২১ ট্রাকে ৪ হাজার ৫শ ৩৮ মেট্রিকটন এবং মশুড় ডাল আমদানি হয়েছে ৬৮ ট্রাকে ২ হাজার ৮শ ১৪ মেট্রিকটন। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রমজান মাস এলেই দেশে বেড়ে যায় ছোলা বুট, ডাল, জিরা সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা। সেই সময়ের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার এসব পণ্যের আমদানি আগে থেকেই শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
প্রতিদিন গড়ে ভারত থেকে ডালই আমদানি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ ভারতীয় ট্রাকে। ১এদিকে এই পণ্য গুলোর দাম দেশের বাজারে ও ভারতের বাজারেও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারকদের ঘরে ও হিলি স্থলবন্দরের ভেতরে প্রতি কেজি ভারতীয় ছোলা বুট এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা কেজি দরে, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা
কেজি দরে, খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৯৫ থেকে ৯৮ টাকা কেজি দরে,জিরা বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা কেজি দরে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পণ্য সরবরাহও করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী এস এম বিপুল রেজা বলেন, দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রন রাখার জন্যই ভারত থেকে এসব পন্য আমদানি করা হচ্ছে। হিলি কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন__এদিকে রমজানের জন্য পণ্য আমদানি করে যাতে দ্রুত পণ্য আমদানিকারকরা ছাড়করণ করতে পারেন সেই জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।