সালাউদ্দিন আহমেদ, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দেশীয় যন্ত্রাংশে সচল হয়ে আবারো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরেছে দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২টি ইউনিট। প্রতিদিন ২৪০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একে একে বন্ধ হয়ে পড়েছিল ৩টি ইউনিটই। ২টি চালু হলেও আরেকটি ইউনিট সোয়া ৪ বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
জানা গেছে, ২৮ফেব্রিুয়ারী রাত ১০টায় কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩য় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরেছে ১২৫ মেগায়াট ক্ষমতার ১ নম্বর ইউনিট। সচলতায় ফেরা ১ নং এবং ৩ নং ইউনিট থেকে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ২৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
এর মধ্যে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩য় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৮০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট করে এবং ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। অন্যদিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সাল থেকে সোয়া ৪ বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নং ইউনিটটি।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবুবকর সিদ্দিক জানান, স্থানীয় যন্ত্রাংশে মেরামত শেষে কেন্দ্রের ২টি ইউনিট সচল করা হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ায় বিদ্যুৎ নির্ভর সেচযন্ত্র শিল্প কারখানা আবাসনে ভোগান্তি দুর হয়েছে। ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি অভার বোলিং শেষে সচল করতে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিলের চীনা প্রকৌশলীরা। দুইটি ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার ৬০০ মেট্রিকটন কয়লা পোড়ানো হচ্ছে।