Monday, March 17, 2025
Homeজাতীয়তিস্তার ভাঙ্গনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ

তিস্তার ভাঙ্গনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
মাজহারুল ইসলাম লিটন,নিজন্ব প্রতিনিধি (নীলফামারী):
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গত কয়েকদিনের চেয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমেছে। তিস্তার পানি কমায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে শতশত বিঘা জমি ও ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যার পর তিস্তা পাড়ের মানুষের নতুন দুর্ভোগ নদী ভাঙ্গন। তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, ফসলাদীসহ নানা স্থাপনা। উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই, চর খড়িবাড়ী, কিসামত ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, ছোটখাতা বাইশপুকুরে খরস্রোতা তিস্তার ভাঙ্গনে অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে মানববেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর খড়িবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও নূর ইসলাম বলেন , তিস্তার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে জমি সহ বসবাড়ী নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তিস্তার তীরে বন্যা ও ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে তিস্তা খনন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মান করতে সরকারের ঊর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের নদী ভাঙ্গনের শিকার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এবারের নদীর ভাঙ্গনে মাথা গোঁছার ঠাঁই হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাই। বাপ দাদার ভিটে হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেলাম। কোথায় দাঁড়াবো বুঝতেছিনা।
আবু তাহের নামের বাসিন্দা বলেন, গত সপ্তাহ থেকে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। কারো কোনো নজর নেই। কখন যে নদী ভেঙে আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় সে ভয়ে আছি। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না ভয়ে। সন্তানদের নিয়ে রাতভর জেগে থাকি।
টেপা খড়িবাড়ী ইউ.পি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, তিন্তা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর এভাবে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে।
নদী ভাঙনে ঘর হারানো ভুক্তভোগী একজন বলেন, আগেই নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে বেড়িবাঁধের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন নতুন করে জেগে ওঠা চরে ওপর দিয়ে খনন করে গতিপথ পরিবর্তন করা হলে পানির স্রোত আর এদিকে থাকবে না। কিন্তু আমাদের দাবির কথা কেউ শুনছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বলেন, বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি কমায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আমরা উদ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।  তিনি আরও জানান আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নদী ভাঙ্গন স্থানসমূহ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।
Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর