তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার
(৫ সেপ্টেম্বর) ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ
আলিয়ার রহমানের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগের
দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে স্মারকলিপি প্রদান
করেছে উক্ত বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিকে প্রধান শিক্ষক ও তাঁর বড় ভাই
বিদ্যালয়ের সভাপতি মফিজাল হোসেন পারিবারিক বিদ্যালয়ে পরিনত
করেছেন। তাঁরা দুই ভাই সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ এক পরিবারের ৮ জন
রয়েছে বিভিন্ন পদে কর্মরত। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার রশিদ
ছাড়াই সেশন ফির নামে ৭০০ টাকা, শ্রেণিভেদে পরীক্ষার ফি বাবদ ৬০০-
৮০০ টাকা, এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন এর নামে ৭০০-৮০০ টাকা,
শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বোর্ড ফি এর অতিরিক্ত তিন থেকে চার
গুণ বেশি টাকা আদায় করেন।
এছাড়াও নিবন্ধন নিবন্ধনপত্র এবং
প্রবেশপত্র প্রদানের সময় ৪০০ টাকা, নম্বরপত্র উত্তোলনের সময় ৩০০
টাকা, প্রশংসাপত্রের জন্য ৪০০ টাকা, এসএসসি সনদ উত্তোলনের সময়
৪০০ টাকা আদায় করেন। প্রতি মাসে প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে
বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৫০ টাকা করে নিয়ে থাকে। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে
কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি বিভাগীয় শহর রংপুরে গড়েছেন আলিশান বাড়ি।
গ্রামের বাড়ির এলাকায়ও রয়েছে তাঁর কোটি টাকার সম্পদ।
কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,রংপুর এর সমাজ বিজ্ঞান মাষ্টার্স এর
শিক্ষার্থী ও সাবেক ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক
শিক্ষার্থী মোঃ রাফিউজ্জামান বাবু বলেন, ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ
বিদ্যালয়ে যত দিন অলিয়ার রহমান স্যার প্রধান শিক্ষক হিসেবে থাকবেন
ততদিন এ স্কুলের কোন উন্নয়ন হবে না। তিনি শুধু নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন
করবেন আর তাঁর পরিবারের লোকদের উন্নয়ন করবেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক মোঃ আলিয়ার রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা
হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাগঞ্জ তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ইউএনও) মোঃ রুবেল রানা বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি ব্যবস্থা
গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
-দুখু/তারাগঞ্জ