Sunday, March 16, 2025
Homeজাতীয়কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করলো প্রশাসন

কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করলো প্রশাসন

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রাশেদ নিজাম শাহ
কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা বেদখল করে নেয় কিছু ভূমিদস্যু। এ নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈন খান এলিসের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ওই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেই জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ায় হাসপাতাল কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা ফিরে পেল।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নামে কিশোরগঞ্জ থানা সংলগ্ন ৬৯ শতাংশ জমি আছে। এক সময় ওই জায়গায় কুষ্ঠ হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হত। যেটির ভবন এখনও দণ্ডায়মান। পরবর্তীতে কুষ্ঠ রোগের কার্যক্রম উপজেলা হাসপাতালে পরিচালিত হওয়ায় জায়গাটি অলস পড়ে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সে জায়গাটি নিয়ে কোন নজরদারী না থাকার সুযোগে কিছু ভূমিদস্যুর চোখে পড়ে কয়েক কোটি টাকার লোভনীয় সম্পত্তিটিতে। রাতের অন্ধকারে অল্প অল্প করে স্থাপনা তৈরি করে হাসপাতালের জায়গা দখলে নেয় ভূমিদস্যুরা। তারা সেখানে বাস-মিনিবাস শ্রমিক অফিস, কোচিং সেন্টার ও ওয়েল্ডিং কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলে। এর আগে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে এক অবৈধ দখলদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠালেও অন্যান্য দখলদাররা বহাল তবিয়তে থাকে। এদিকে সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সম্পত্তি উদ্ধারে আবেদন করলে ওই জায়গায় অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করা হয়। ফলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈন খান এলিস হাসপাতালের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়। এতে হাসপাতালের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নামিও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ফিরে পেল।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আল মামুন বলেন- প্রশাসনের সহযোগিতায় হাসপাতালের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হল। জায়গাটি যাতে আর কেউ বেদখল করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈন খান এলিস জানান- দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬৯ জমি বেদখল করেছিল কতিপয় ব্যক্তি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মূল্যবান সে সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর