রাশেদ নিজাম শাহ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা ও ছেলেকে বেধড়ক মারপিট সহ যৌনাঙ্গ থেতলে দিয়েছে পাষন্ড আফজাল হোসেন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। ভুক্তভোগিরা মেডিকেলের বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই বুড়াটারী গ্রামে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ১২ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দবির উদ্দিনের ছেলে আলেফ উদ্দিন নতুন বাড়ী নির্মাণ করছেন। নির্মানাধীন দেয়ালে পানি দেওয়ার সময় মরহুম একরামুল হকের ছেলে রাসেদুল ইসলামের গোয়াল ঘর পানি ঢুকে তার একটি উন্নত জাতের ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। রাসেদুল দেয়ালে পানি সতর্কভাবে দেওয়ার জন্য বললে আলেফ উদ্দিন বলেন তোর কি ভেসে যাবে না মরে যাবে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। একথা বললে দুজনের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ১০ থেকে ১২জন লোক লাঠি নিয়ে এসে রাসেদুলকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিটের যন্ত্রনায় রাসেদুল বাড়ীতে পালিয়ে এলে বাড়ীর গেট ভেঙ্গে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীতে ঢুকে। এসময় তার বিধবা মা আশেকা বেওয়া ও স্ত্রী মুক্তা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতারি মারপিট করে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে গুতো মেরে যৌনাঙ্গ থেতলে দেয়। এ ঘটনায় রাসেদুলের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করে।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম মামলা রজু হওয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।